একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বরিশাল-২ আসনে পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। আওয়ামী লীগের অভিযোগ, বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মিছিলে আকস্মিক হামলা চালিয়েছে। এতে তাদের ১০ থেকে ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।বিএনপির অভিযোগ, বরিশাল-২ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সরদার সরফুদ্দিন আহমেদের গাড়ি বহর হামলা করেছেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা। এতে স্থানীয় সাংবাদিকসহ ৮/১০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া দু’টি মাইক্রোবাসসহ বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে- সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে উজিরপুর উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের ডাবেরকুল এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। তবে, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৪টা) কোনপক্ষই থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেননি।বিএনপি প্রার্থীর প্রধান সমন্বয়ক মান্নান মাস্টার জানান, ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সরদার সরফুদ্দিন আহমেদের বড়াকোঠা ইউনিয়নে উঠান বৈঠক ছিলো। ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার উদ্দেশে ডাবেরকুল এলাকায় পৌঁছালে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা নৌকারপক্ষে স্লোগান দিয়ে তাদের গাড়ি বহরে হামলা চালায়।এতে তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, রনি হাওলাদার, জল্লা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক, রিয়াজ খান, বড়াকোঠা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি কাইয়ুম খান, গুঠিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি শাহীন হাওলাদারসহ বেশকিছু নেতা কর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে চারজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া হামলায় বহরে থাকা দু’টি মাইক্রোবাসসহ বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও বড়াকোঠা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম মৃধা জানান, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা ডাবেরকুল এলাকার চৌরাস্তায় দাড়িয়ে নৌকার পক্ষে স্লোগান দিচ্ছিলো। একই সময় বিএনপির প্রার্থী সরদার সরফুদ্দিন আহমেদের একটি গাড়ি বহর সেখান দিয়ে যাচ্ছিলো। ওই গাড়ি বহর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় কিছু লোক চৌরাস্তায় নেমে তাদের নেতা-কর্মীদের ওপর আকস্মিক হামলা চালায়। এতে বড়াকোঠা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান কামাল ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল হোসেনসহ ১০ থেকে ১২ জন আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিশির কুমার পাল জানান, হামলার কথা শুনেছি। তবে কোনোপক্ষই লিখিতভাবে এখনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply